এক থা টাইগার
আগস্ট এর মাঝা মাঝি ছুটির দিনে যদি আপনি একটা মারপিট ,নাচ গানের ছবি দেখতে চান , যদি আপনি আর একটা ভারত পাকিস্তানের প্রেমের মসালাদার ছবি দেখতে চান যার কোনও প্রভাবই শেষে আপনার মধ্যে থাকবে না তাহলে সেই ছবিটি আজ দেখে এলাম । আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে যে ছবি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারত তা হারিয়ে গেল ভালবাসার বহু চেনা সেই একই গলিতে। ছবি শুরুর সম্ভবনা টাও খুব ভালো , যত সময় গড়াল তত ভুল বেরিয়ে পড়ল। দেখলাম র এর এজেন্ট টাইগার উত্তর ইরানে আছেন সেখানে এতো চাইনিজ লোক কথা থকে এলো যাদের সাথে টাইগার এর লড়াই হয় এবং ১৩ মিনিট জুড়ে চলতে থাকে আমাদের হিরো প্রতিষ্ঠা পান । এখানে সুন্দর একটা বিদেশী মারামারির ছবির সব্ সুযোগ থাকলেও কেন পরিচালক অকারনে সেই প্রেম এর রাস্তায় হাঁটলেন , সেই হাটা কখনো “ফানা” কখনো “ কাইটস” বা হালফিলের সলমন অভিনীত ছবি গুলির ছায়া ছেড়ে বেরোতেই পারল না । তবে মসালা বলিউড ফিল্মের সব আছে হিরো দারুন জোরে ছোটে , গাড়ি চালায় , বাইক কসরত করে , এমন কি নায়িকাও পাল্লা দিয়ে এসবের সাথে সাথে হেলিকপ্তার ও চালিয়ে ফেলেন ।ছবিটি দেখতে দেখতে বার বার আপনার মনে পড়বে যে সলমন এক সময় একটি ঠান্ডা পানিয়ের বিজ্ঞাপনে এই রকম ভাবেই আমাদের সামনে আসতেন । ছবির মাঝের ১০ মিনিট এবং শেষের ১৫ মিনিট জুড়ে আন্তর্জাতিক মানের মারামারি বাদ দিলে ছবিটি দেখা বেশ কঠিন ।
এখানেই হতাশ হলাম কবির খান এর কাজ দেখে, “ফরগটেন আর্মি” র মত তথ্য চিত্র যার হাত থেকে বেরিয়েছে , তাঁর থেকে এই ছবিটি দুঃখজনক। যদি কাবুল এক্সপ্রেস বা নিউইয়র্ক এর মত ছবি তৈরির মানুষ নতুন কিছুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা (experiment ) না করেন তবে আগামী কিন্তু ভুগবে।
ছবির যান্ত্রিক দিক দেখতে গেলে দামাস্কাস ,ব্যাংকক , আয়ারল্যান্ড এর মত দেশে সিনেমাতগ্রাফি নিজে ছবির একটা চরিত্র হয়ে ওঠার সুযোগ হারাল যথেচ্ছ ক্রমা ও অপ্রয়োজনীয় হ্যান্ডেল শত এর জারকিং এ, যদিও অ্যাকসন এর ক্ষেত্রে ফলোইং শট আন্তর্জাতিক মানের । কিন্তু এটা একটা ছবির অলঙ্কার হতে পারে , ছবির কথা বলে না ।
অর্থনৈতিক ভাবে এছবি বেশ ভালো বাজেটের ৭০ কোটির এবং ব্যাবসা করেছে প্রথম দিনেই ৩৩ কোটি ফলে বোঝায় যাচ্ছে এ আর একটি বাণিজ্যিক ভাবে সফল অথচ নিন্ম মানের ছবি কে আমরা দেখলাম সুধুমাত্র স্টার এফেক্ট দিয়ে পার হয়ে যেতে। শেষে যে আশা নিয়ে আমারা অপেক্ষা করতে পারি যে কবির খান এই কাচা দরের ছবি থেকে খুব তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসবেন এবং আমাদের আবার সময় এর কথা বলে এমন ছবি বানাবেন।
ডিরেক্টরঃ কবির খান । প্রোডিউসারঃ আদিত্য চোপড়া । অভিন্যঃ সলমন খান , ক্যাটরিনা কাইয়ফ , রনবির সুরি সিনেমাটগ্রাফিঃ অসীম মিশ্র । মিউজিকঃ সোহেল সেন , সাজিদ- ওয়াজিদ।
আগস্ট এর মাঝা মাঝি ছুটির দিনে যদি আপনি একটা মারপিট ,নাচ গানের ছবি দেখতে চান , যদি আপনি আর একটা ভারত পাকিস্তানের প্রেমের মসালাদার ছবি দেখতে চান যার কোনও প্রভাবই শেষে আপনার মধ্যে থাকবে না তাহলে সেই ছবিটি আজ দেখে এলাম । আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে যে ছবি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারত তা হারিয়ে গেল ভালবাসার বহু চেনা সেই একই গলিতে। ছবি শুরুর সম্ভবনা টাও খুব ভালো , যত সময় গড়াল তত ভুল বেরিয়ে পড়ল। দেখলাম র এর এজেন্ট টাইগার উত্তর ইরানে আছেন সেখানে এতো চাইনিজ লোক কথা থকে এলো যাদের সাথে টাইগার এর লড়াই হয় এবং ১৩ মিনিট জুড়ে চলতে থাকে আমাদের হিরো প্রতিষ্ঠা পান । এখানে সুন্দর একটা বিদেশী মারামারির ছবির সব্ সুযোগ থাকলেও কেন পরিচালক অকারনে সেই প্রেম এর রাস্তায় হাঁটলেন , সেই হাটা কখনো “ফানা” কখনো “ কাইটস” বা হালফিলের সলমন অভিনীত ছবি গুলির ছায়া ছেড়ে বেরোতেই পারল না । তবে মসালা বলিউড ফিল্মের সব আছে হিরো দারুন জোরে ছোটে , গাড়ি চালায় , বাইক কসরত করে , এমন কি নায়িকাও পাল্লা দিয়ে এসবের সাথে সাথে হেলিকপ্তার ও চালিয়ে ফেলেন ।ছবিটি দেখতে দেখতে বার বার আপনার মনে পড়বে যে সলমন এক সময় একটি ঠান্ডা পানিয়ের বিজ্ঞাপনে এই রকম ভাবেই আমাদের সামনে আসতেন । ছবির মাঝের ১০ মিনিট এবং শেষের ১৫ মিনিট জুড়ে আন্তর্জাতিক মানের মারামারি বাদ দিলে ছবিটি দেখা বেশ কঠিন ।
এখানেই হতাশ হলাম কবির খান এর কাজ দেখে, “ফরগটেন আর্মি” র মত তথ্য চিত্র যার হাত থেকে বেরিয়েছে , তাঁর থেকে এই ছবিটি দুঃখজনক। যদি কাবুল এক্সপ্রেস বা নিউইয়র্ক এর মত ছবি তৈরির মানুষ নতুন কিছুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা (experiment ) না করেন তবে আগামী কিন্তু ভুগবে।
ছবির যান্ত্রিক দিক দেখতে গেলে দামাস্কাস ,ব্যাংকক , আয়ারল্যান্ড এর মত দেশে সিনেমাতগ্রাফি নিজে ছবির একটা চরিত্র হয়ে ওঠার সুযোগ হারাল যথেচ্ছ ক্রমা ও অপ্রয়োজনীয় হ্যান্ডেল শত এর জারকিং এ, যদিও অ্যাকসন এর ক্ষেত্রে ফলোইং শট আন্তর্জাতিক মানের । কিন্তু এটা একটা ছবির অলঙ্কার হতে পারে , ছবির কথা বলে না ।
অর্থনৈতিক ভাবে এছবি বেশ ভালো বাজেটের ৭০ কোটির এবং ব্যাবসা করেছে প্রথম দিনেই ৩৩ কোটি ফলে বোঝায় যাচ্ছে এ আর একটি বাণিজ্যিক ভাবে সফল অথচ নিন্ম মানের ছবি কে আমরা দেখলাম সুধুমাত্র স্টার এফেক্ট দিয়ে পার হয়ে যেতে। শেষে যে আশা নিয়ে আমারা অপেক্ষা করতে পারি যে কবির খান এই কাচা দরের ছবি থেকে খুব তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসবেন এবং আমাদের আবার সময় এর কথা বলে এমন ছবি বানাবেন।
ডিরেক্টরঃ কবির খান । প্রোডিউসারঃ আদিত্য চোপড়া । অভিন্যঃ সলমন খান , ক্যাটরিনা কাইয়ফ , রনবির সুরি সিনেমাটগ্রাফিঃ অসীম মিশ্র । মিউজিকঃ সোহেল সেন , সাজিদ- ওয়াজিদ।