হতাশা আর আশা ভঙ্গের আশা দুটোই কি এক? বেঁচে থাকা আর বাঁচার জন্য লড়াই করা
দুটোই কি এক? আমরা হয়ত সবাই একমত হই যে প্রতিনিয়ত আমরা লড়াই করছি বেঁচে থাকার
জন্য। হ্যাঁ লড়াই হয়ত করছি কিন্তু কার সাথে লড়াই করছি আর কিসের জন্য করছি? উত্তরটা
হয়ত সবারই জানা যে আমরা আমাদের প্রতিনিয়ত জীবনে আগত সমস্যার সাথে চলার পথে বাঁধার
সাথে লড়াই করছি কারন যত বেশি সময় আমরা এই পৃথিবীতে থাকতে পারি তার জন্য। আসলে আগেই
বলেছি এই লড়াইটা বেঁচে থাকার জন্য। কিন্তু কিসের জন্য বেঁচে থাকা? আমরা সবাই বলি
জীবনের জন্য, নিজের জন্য, আমাদের পরিবারের জন্য, আমাদের সমাজের জন্য, আমাদের দেশের
জন্য, আমাদের পৃথিবীর জন্য। কিন্তু এ সবের উপরে অস্তিত্বের জন্য। সেই কবে চার্লস
ডারউইন বলে গেছেন এ লড়াই আসলে অস্তিত্বের জন্য, তার প্রবন্ধ “অস্তিত্বের জন্য
সংগ্রাম”। অধুনা হয়ত এই তত্ত্বের
সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু এ সত্যের বিচ্যুতি হয়নি। পরবর্তীকালে দার্শনিক জঁ পল সাত্রে থেকে শুরু করে কাফকা
সবাই এই অস্তিত্বের জন্য লড়াইয়ের কথাই বলে গেছেন। ঐশ্বরিক চিন্তাভাবনা থেকে মুক্ত
হয়ে আমরা নিজের জন্য নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যখন লড়াই করি আসলে সেটাই তখন
অস্তিত্বের জন্য লড়াই করা হয়। ঈশ্বরে বিশ্বাস ভাল, কিন্তু ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করা
ঠিক নয়। জীবনে বাঁচার পথটা আমাদের নিজেদেরই তৈরি করতে হয় আর নিজেদেরকেই সে পথে
হাঁটতে হয়। সমস্যার সম্মুখিন হলে নিজেদেরকেই সেই সমস্যার সমাধান করতে হয়, সমাধান
হলে ভাল, না হলে নিজেদেরকেই সেই সমস্যার কবলে পরে পুনরায় সঠিক পথটার জন্য ভাবতে হয়
নতুন ভাবে আবার প্রস্তুতি নিতে হয় এগিয়ে যাওয়ার। যদি সঠিক ভাবে আমরা ভাবি তাহলে
আমাদের নিজেদের নিজস্ব কোন পরিচয় নেই, নামটাও বাবা মায়ের দেওয়া, তাহলে নিজের পরিচয়
কি? উত্তর হয়ত অনেক আসবে কিন্তু সর্বোপরি এটাই সত্য প্রতিনিয়ত আমরা নিজের নিজস্বতাকে
পাওয়ার লক্ষ্যেই, নিজের অস্তিত্বকে প্রমানের লক্ষ্যেই লড়াই করে চলেছি। এই লড়াইতে
কখন ঈশ্বরের উপস্থিতি আমাদের সবল করে তোলে, আশা জাগায় সমগ্র ক্ষমতার অধিকারী
আমাদের সাথে আছেন, আবার কখনও পরাজয়ের গ্লানি আমাদের তার কাছ থেকে বিরত রাখে। তর্ক
হয়ত অনেক হবে কেন আমরা ঈশ্বরে বিশ্বাসী হব আর কেনই বা হব না। কেন তার ওপর আস্থা
রাখব আর কেনই বা আস্থা রাখব না। কিন্তু এ অবসর তর্কের নয় এ অবসর পিস্কিন মলিতর
প্যাটেলের জীবন আলচনা করার।
সেই ছোটবেলায় পন্ডিচেরির নীল সাদা জীবনে যখন সারা ক্লাস জুড়ে বোর্ডের পর
বোর্ড জুড়ে ৩.১৪৫..... এর পরবর্তী সংখ্যা গুলো লিখে চলেছে তখনই তো সবাই আশ্চর্য
অবাক বিস্ময়ে এই “মিরাকেল বয়” এর দিকে তাকিয়ে ছিল। আর এই থেকেই তো তার নামের
উৎপত্তি “পাই”। আসলে সে যে সংখ্যা গুলো লিখে চলেছে তা আসলে গাণিতিক এক রাশির
সাঙ্খ্যেতিক মান। কিন্তু এ যে আসলে তার সহপাঠীদের তাকে অপমানের উত্তর ছিল।
ছোটবেলা থেকেই তার ওপর ঐশ্বরিক চিন্তাভাবনার প্রভাব পড়ে। সে চার্চে যায়, ফাদারের কাছে জানতে যায় কেন প্রভু যীশু শেষ জীবনে অমন কষ্ট করেছেন, অথচ
নিজে বাড়িতে রোজ সকালে নামাজ পড়ে। অস্কারজয়ী পরচালক অ্যাং লি হয়ত এটাই বলতে
চেয়েছেন যে ঈশ্বর এক ও অবিনশ্বর ধর্মের দোহাই দিয়ে তাকে বিভক্ত করা যায় না। আমি
বিশ্বাস যীশুতে রাখতে পারি কিংবা আল্লায়, আমি বিশ্বাস কৃষ্ণে রাখতে পারি কিংবা
বুদ্ধে সেটা নিতান্ত ব্যাক্তিগত কিন্তু আমাদের এক ক্ষমতার ওপর বিশ্বাস রাখা উচিত।
সে ক্ষমতা হয়ত ঈশ্বর। আসলে এক ক্ষমতা বর্তমান কিন্তু তার বিভক্ততা মানুষের সৃষ্টি।
তাই বিপদে পড়লে আমরা তার সম্মুখীন হই, এই তিনিই কখনও আল্লা হন, কখনও বা যীশু।
কিন্তু পাই সে তো “গড” কে ডাকে। যেহেতু ইংরাজি ভাষায় ছবি তাই হয়ত গড, ছবি অন্য
ভাষায় হলে সেটাও পরিবর্তন হয়ে যেত। কারন সেই ছোটবেলা থেকেই তো পাই এক ও অবিনশ্বর
ঈশ্বরে বিশ্বাস করে এসেছে। পরিচালক তো এটাই আমাদের বলতে চেয়েছেন।
ছবি এগিয়ে চলে প্রথমে প্রাপ্তবয়স্ক পাই যে নিজে তার গল্প বলা শুরু করে এখন
সে ছোট থেকে ধীরে ধীরে বড় হয়। আর এই ছোটবেলাই কিছুক্ষন আগে তার সাথে পরিচয় হয়
রিচার্ড পার্কারের। রিচার্ড পার্কার কে সে? কেমন তিনি? আর কিভাবেই বা পাই এর সাথে
তার বন্ধুত্ব হল? ছবির সমস্ত মজাটা এখানেই। না হলে এটাও সেই আর পাঁচটা হলিউডের
ঝিঞ্চ্যাক রঙচঙে অ্যাকশনে মাতোয়ারা বেঁচে থাকার গল্প হয়ে যেত। ইয়ান মরটালের
কাল্পনিক উপন্যাসের সার্থকতা এখানেই। যে উপন্যাস পড়ে রিচার্ড পার্কারকে কল্পনা করা
একটু মুশকিল হয়ে পড়েছিল, অ্যাং লি সেই কল্পনাকেই দৃঢ় করতে এই উপন্যাসকে পর্দার
উপস্থিত করেছেন। বলা বাহুল্য পাতার রিচার্ড পার্কারকে পর্দায় নিয়ে এসেছেন।
ছোটবেলায় রিচার্ড পার্কারের সাথে প্রথমবার দেখাও এক মজার, আসলে সাধারন মানুষ যা
কল্পনাতেও ভাবতে পারে না সেটাই যদি কেউ বাস্তবে করতে যায় তাহলেই সাধারনের চোখে
সেটা যেমন মজার হয়ে ওঠে তেমনি বড় বিস্ময়েরও হয়ে ওঠে, যেমন আমার হয়েছিল। আসলে এই
রিচার্ড পার্কার একজন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। মানুষ ও প্রাণীর মধ্যেও যে অন্তরাত্মা
ঘটিত একটা সম্পর্ক আছে সেটাই ধীরে ধীরে ছবি যত এগিয়েছে তত পরিস্ফুত হয়েছে।
দেশান্তরের সময় যখন প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে তাদের জাহাজ প্রচণ্ড ঝড়ের
সম্মুখীন, প্রবল বাতাস আর জলরাশির ঝাপটা যখন জাহাজ কে তোলপাড় করে চলেছে সেই সময়ই
এই প্রাকৃতিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে জাহাজ যখন নিম্নমুখী পতনের দিকে এগিয়ে চলেছে,
ছোট একটি লাইফ বোটে তখন নিজের জীবনের প্রদীপখানি জ্বালিয়ে পাই অজানার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে আর তার চোখের সামনে তার পরিবারের তার
বাবার সাধের পশুপাখির সলিল সমাধি ঘটছে। রাতের প্রলয়ের তাণ্ডব, স্বজন হারানোর
জ্বালা, আর কোন এক অজানার উদ্দেশ্যে রওনা, সেখানে আদও কি জীবনের আলো অপেক্ষা করেছে
কিনা কেউ জানে না। তাই পাই এর এই সমস্যাসংকুল সময়ে সে যেন যে পথের উদ্দেশ্যে জীবন
মৃত্যুকে উপেক্ষা করে রওনা দিচ্ছে এ যেন তার নিজের অস্তিত্ব প্রমানের নতুন লক্ষ্য।
যে নিজে হাতে বাঘকে মাংস খাওয়াতে যায় এই ভেবে যে পশুদেরও মানসিক আত্মবুদ্ধি থাকে যা
দিয়ে তারাও মানুষের মত ভাবতে পারে চিন্তাশক্তি দ্বারা নিজেকে চালনা করতে পারে, তার
তো বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই উপলব্ধি আরও গভীর হবেই। তাই তো সে সমুদ্র বক্ষে যখন একা
একা নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাঠি হাতে রিচার্ড
পার্কারকে শান্ত করার চেষ্টা করছে।
একটা জেব্রা, একটা শিম্পাঞ্জি একটা শিয়াল আর
একটা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। সাথে বছর কুড়ির এক বালক পাই। যে সবেমাত্র তার সদ্য
প্রস্ফুটিত হওয়া ভালোবাসার কমলকে বিদায় জানিয়েও পুনরায় ফিরে আসার অঙ্গীকার নিয়ে
বিদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। কিন্তু অতল সাগরে সব কিছুর সমাধি হওয়ার পর সে এই
চার প্রাণীকে কে নিয়ে জীবনের আশা যখন দিগ্বিদিকে খুঁজে বেড়াচ্ছে সেই সময় ক্ষুদার
তাড়নাও সকলকে তারিয়ে বেড়াচ্ছে। তাই তো তাকে একে একে সবাইকে হারাতে হয় সাধের অরেঞ্জ
কিংকেও। কিন্তু প্রশ্নটা অন্য যায়গায়। আমরা জানি যে পশু মাত্রই তাদের চিন্তাশক্তি
শূন্য। ক্ষুদার জ্বালায় যখন একে একে সবাই নিজের প্রান দিল একমাত্র বোটে সঙ্গী দুজন
পাই আর রিচার্ড পার্কার, সেই সময় বাধ্য হয়েই পাইকে কাচা মাংস খেতে হয়, কিন্তু
রিচার্ড পার্কার যার দিনে কমপক্ষে ৫ কেজি মাংস লাগে সে সামান্য গুটি কয় উড়ুক্কু
মাছ খেয়েই শান্ত থাকল, একবারের জন্যও পাইকে আক্রমণ করলো না? কেন? এর উত্তর বোধহয়
আমাদের কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ থাকে। যারা এই কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে সক্ষম হয়
তারাই শ্রেষ্ট হয়ে থাকে যুগে যুগে আমরা এদের উদাহরন দিয়েই মানুষ হওয়ার কথা বলি
মানুষের মতন ভাববার কথা বলি, আর যারা পারে না তারা সংখ্যায় অনেক হলেও প্রকৃত মানুষ
হিসাবে বিবেচিত হয় না। আসলে সবটাই আমাদের মনের ব্যাপার, মন যা মানতে বলে আমরা তাই
মানি, তাই করি, মনও যে আসলে মগজের অংশ, হৃদয় তো মগজেই থাকে। তাই সবকিছু একটু বিচার
বিবেচনা করে করলে হয়ত পৃথিবীটা আজকের দিনে এসে এত অশান্ত হত না। আজকে যখন মানুষের
সাথে মানুষের সম্পর্কই তিক্ততার গভীরে প্রবেশ করেছে, তখন একটা প্রাণীর সাথেও যে
হৃদয় ঘটিত সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে, এটাই ছিল ছবির মূল মন্ত্র, যা আসলে ছিল অতি
সূক্ষ ভাবে তথাকথিত সামাজিক প্রাণীদের ব্যঙ্গ করা। এই সামাজিক প্রাণীরা কারা সেটা
আর বলার মুল্য রাখে না। কারন আমি যখন দুটো মাতৃহারা বিড়াল শাবককে প্রয়োজনীয় সেবা
না করার ফলে তাদের মৃত্যুতে নিজেকে দণ্ড দেওয়ার কথা বলেছিলাম তখন আমার চারপাশের
সামাজিক প্রাণীরা দাঁত কেলিয়েছিল।
সারা ছবি জুড়ে কিছু অসাধরন মুহূর্ত আছে যা
সত্যিই ছেড়ে দেওয়া মানে এক অসম্ভব দৃশ্য সুন্দর মাধ্যম থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা।
আমার আফসোস এখানেই পকেটে জুড়ে গড়ের মাঠের দরুন খুব সামান্য মুল্যের টিকিটের
বিনিময়ে আমাকে এই ছবি ঘাড় উঁচু করে দ্বিমাত্রিক মাধ্যমেই দেখতে হয়। এবারও অন্ধকারে
চোখে রঙিন চশমা পড়ার সুযোগ হল না। তাই বলাই বাহুল্য সে অভিজ্ঞতা কেমন হবে সে আমি
বলতে পারব না। কিন্তু ছবির প্রথম ১০ মিনিট দেখে যখন বারবার মনে হচ্ছিল আমি এক
অসম্ভব সুন্দর অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হোলাম এবং বাড়ি ফিরে এসে যখন জানলাম এই ছবির
প্রথম ১০ মিনিটের অংশ নাকি ত্রিমাত্রিক ছবির অন্যতম সেরা অংশ, আর হবে নাই বা কেন
জেমস ক্যামারুন নিজে ছিলেন এ দায়িত্বে, প্রতিটা ফ্রেমকে আলাদা আলাদা করে
ত্রিমাত্রিক আকার দেওয়া হয়েছে, তখন আর আফসোস করারও ইচ্ছে রইল না। আপনাদের সেই
অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করার জন্যই এত গুলো কথা লিখলাম এই যাত্রায়।
ভারত এই ছবির পটভূমিকা হওয়ায় ছবির কিছু অংশের
চিত্রগ্রহন যেমন ভারতে হয়েছে, তেমনি ছবিতে মূল চরিত্রে বেশ কিছু ভারতীয় অভিনেতা
অভিনেত্রীই অভিনয় করেছেন। কিন্তু সবচেয়ে
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল ছবির সঙ্গীত। মূলত দক্ষিন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ব্যাবহার
ছবিকে দু ঘণ্টা আট মিনিটের জন্য স্বল্প পরিসরে আমাদের এগিয়ে নিয়ে গেল এক অজ্ঞাত
স্বর, শব্দ আর সঙ্গীত দিয়ে এক গোপন আস্তানায় যেখানে মন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। আর সে
বিদ্যুতে বারবার ফিরে এসেও শক লাগে। তাই চলে যাওয়া আসলে যে ভেঙে যাওয়া নয়, মনের
কাছাকাছি আজীবন থেকে যাওয়া, সমস্ত আঘাত দিয়ে, নক্ষত্রের দোষ দিয়েও যে ভালোবাসাকে
বাঁধা দেওয়া যায় না, যে ভালোবাসা মানুষের সহিত মানুষের বিবাহের মতন জটিল বন্ধনেও
আবদ্ধ হয়েও সরু পাঁচিলের ওপর দাড়িয়ে থরথর করে কাঁপে, আর নীচের অতল খাদের দিকে চেয়ে
মাথা ঘোরার ভান করে, সে ভালোবাসা কখনও চিরস্থায়ী হতে পারে না। ভালোবাসা একটা
অনুভূতি, সেটা চিরকাল থেকে যায়। তাই তো লেখক কে গল্প বলার শেষে বড় হয়ে যাওয়া
পাইয়ের চোখেও অশ্রু এসে ভিড় করে। এটা চিরন্তন, চিরকালের, তাই পাইকে তার ২২৭ দিনের
ভেসে থাকার ঘটনা বলতে বলা হলে সে যখন সত্যি কথা বলে তখন তা ছাপার অযোগ্য বলে বাতিল
করে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপর যখন গল্পের গরুকে গাছে ওঠাবার মতন সে একটা কাল্পনিক
গল্প বলে সেই গল্পের ভিতরেও তার ভালোবাসার চিরন্তন সত্য লুকিয়ে থাকে।
পরিশেষে এটাই বলার বাকি থেকে যায় যে জীবন চলবে
জীবনের মতনই কিন্তু তাকে পরিবর্তন করার দায়িত্ব নেওয়া মানেই নিজের অস্তিত্বকে
প্রমানের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া। আমাদের সবার জীবনেই অকস্মাৎ এমন ঘটনা ঘটে যায় যা
আমাদের দিকে বাড়তি দায়িত্ব এগিয়ে দেয়। কিন্তু সেই ঘটনার অপেক্ষায় না থেকে নিজ
বুদ্ধিতে নিজের চিন্তাশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে আগে থেকেই যদি আমরা সেই দায়িত্ব নিয়ে
এগিয়ে যাওয়ার কথা ভাবি তাহলে শস্য শ্যামলা সুন্দর পৃথিবীর বুকে আবারও মানুষের বিজয়
পতাকা পতপত করে উড়বে। তখন আর রিচার্ড পার্কারকে দিয়ে আমাদের নীতিশিক্ষা দেওয়ার
প্রয়োজন হবে না।
ধন্যবাদ রিচার্ড পার্কার আজকের এই মোমবাতির
মিছিলেও অতি অল্প আলোয় আরও একবার আমাদের সঠিক পথের হদিস দেওয়ায়, ধন্যবাদ অ্যাং লি,
ধন্যবাদ ইয়ান মর্টাল।।
ছবিঃ লাইফ অফ পাই
অভিনয়ঃ সুরজ শর্মা, ইরফান খান, তাব্বু, আদিল হোসেন প্রমুখ।
চিত্রনাত্যঃ ডেভিড ম্যাগি
সঙ্গিতঃ মাইকেল
পরিচালনাঃ অ্যাং লি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন