মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর, ২০১২

কালবেলা ---এ কালের ধারা আজও বয়ে চলে আমার বুক জুড়ে।





  জীবিত অথবা মৃত এই দুইই সত্ত্বা আমাদের। এর বাইরে আজ আমরা ভাবতে পারি না। প্রতি মুহূর্তে নিজের বাঁচার লড়াইটা লোরি। মৃত্যুকে আগলে রাখার যে ব্যর্থ প্রচেষ্টা প্রতি নিয়ত করে চলেছি, সেই লড়াইটা শুধুমাত্র নিজের সাথে নিজের লড়াই। আমরা জানি একসময় এসে আমরা হেরে যাবই, মৃত্যু আমাদের গ্রাস করবেই তা সত্ত্বেও লড়ে যাচ্ছি, আর প্রতি মুহূর্তে ভুলে যাচ্ছি একের সাথে অন্যের সম্পর্ককে। শুধু মাত্র সেই সম্পর্ক গুলিকেই মনে রাখছি যে সম্পর্ক ভালবাসার, যে সম্পর্ক স্নেহের, যে সম্পর্ক আদরের। আর সেই সম্পর্ক গুলো যে গুলোর কোন নাম নেই যে গুলোর কোন গন্ধ নেই তাদের প্রতি আমদের কোন দায়িত্ব নেই? এই দায়িত্ব গুলিই আজ যারা পালনের উদ্দেশ্যে পথে নেমেছে, তাদের প্রতি নিয়ত দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক অপরাধী আখ্যা দিয়ে। কোথায় আছি কেন আছি? এই প্রশ্ন কি কোনোদিন করে দেখার সময় হয়েছে? হয়নি। না আমার না আপনার। আমার সময় হয়েছে বলেই আমি আজ কলমকে আশ্রয় করে নিয়েছি। গুলি করতে না পারি কিছু গালাগাল তো দিতে পারি। নিজের মনের অভিমানকে আপনার মতন পুষে না রেখে তার বহিঃপ্রকাশ তো করতে পারি। এতে তো কিছুটা হলেও মনের শান্তি আসে। ঘোমটার তলা থেকে মুখ বের করে আনার সময় যে হয়ে এসেছে।
সমরেশ বসুর উপন্যাস অবলম্বনে গৌতম ঘোষের পরিচালনায় “কালবেলা” ছবিটা দেখতে বসেও আমার বারবার মনে হচ্ছিল একরাশ স্বপ্ন বুকে নিয়ে সেই সুদূর জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতায় পড়তে আসা অনিমেষের কি দরকার ছিল সেই স্বপ্নকে দূরে সরিয়ে রেখে মানুষের জন্যে লড়াই করবার জন্য রাজনীতিতে আসবার, বাবার বারণ করা সত্ত্বেও। আসলে ৭০ এর দশকের উত্তাল অবস্থা থেকে কেউ গা বাচিয়ে থাকতে পারে নি। কেউ প্রত্যক্ষ ভাবে সম্মুখ সমরে নেমেছে কেউ বা পরোক্ষ ভাবে।
কিন্তু একটা চরিত্র কি শুধুমাত্র মতবাদ পড়ে দলের নেতার উদ্দীপ্ত ভাষণ শুনেই সেই দলে যোগদান করতে পারে? তার নিজস্ব ধ্যানধারণা, ভাবধারা কি এর ফলেই সৃষ্টি হয়?  বিরোধী পক্ষের নীতিবিরোধীতা করাই কি সকল দলের উদ্দেশ্য? প্রশ্ন অনেক উত্তর নেই। আসলে উত্তর দেবার মত আজ কে কেউ নেই। আমিও তো চাইছি স্রোতের জোয়ারে গা না ভাসিয়ে একটা সুন্দর সমাজ গড়ে তোলবার। কিন্তু উপায় নেই, অন্যায় প্রতিবাদ করার শক্তি আমার নেই।
যে সত্তরের দশকের উত্তাল অবস্থার কথা আজ আমরা বাবা কাকা দের কাছে শুধু শুনি ইতিহাস ঘাটি না পড়ি না তারা হয়ত এ ছবি দেখে অনেক কিছুই বুঝবে না যেমন আমিও বুঝি নি তাই তাগিদ নিয়েই শুভঙ্করকে বললাম ৭০ দশকের ইতিহাসের বইটা দিতে।
অনিমেষ বাবার কাছে সেই যে অনুমতি নিয়ে কলকাতায় এল আসার সাথে সাথেই পায়ে বিনা কারনে পুলিশের গুলি খেয়ে অপরাধী হয়ে গেল আর সাথে সাথে কলকাতায় পড়তে আসা যে একেবারের মত শেষ হয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু এ যাত্রায় সে দেবব্রত কাকুর জন্য বেঁচে গেল। কিন্তু আমি তো বাঁচতে পারলাম না, আমি ও তো স্বপ্ন দেখেছিলাম কলকাতার কলেজে পড়ব, কিন্তু যখন বিনা দোষে রাজনীতির স্বীকার হয়ে আমার সে স্বপ্ন ধুলিস্যাত হল, আমায় সে যাত্রায় কেউ বাঁচিয়ে দিল না, ফলে আমার স্বপ্নভঙ্গ হল, তাই প্রথম প্রথম জিনিয়াদের দেখলে যে বড় হিংসা হত। কিন্তু এ যাত্রায় আমিও যে অনিমেষের মধ্যে আমার আমিকে খানিকক্ষণ হলেও খুঁজে পেলাম। নিজেকে বেশ কিছুদিন বাদে খুঁজে পেয়ে আমার যে বড় আনন্দই হচ্ছিল।
যে অনিমেষ কলকাতায় এসে উত্তাল হাওয়ায় নিজেকে মেলে দিল, এক অসম বয়সি মহিলার সাথে গভীর বন্ধুত্বের বন্ধনে লিপ্ত হল, আর তার প্রেমিকের কাছে বকুনি খেল, এ হেন ঘটনা গল্পের ক্রমবিকাশে যথেষ্ট সাহায্য করলেও আমায় আবার ফিরিয়ে নিয়ে গেল আমার শৈশবের দিনগুলিতে যেখানে আমিও কাউকে প্রেম নিবেদন না করেই তার পূর্বতন প্রেমিকের কাছ থেকে কড়া ধমক খেয়েছিলাম। এ চিরচিরাচরিত ব্যাপার সময় বদলায়, প্রেমিকাদের রুপ বদলায়, যৌবন বদলায়, প্রেম করার আঙ্গিক বদলায় কিন্তু প্রেমিকদের মেজাজ মন বদলায় না তারা সেই একই থেকে যায় হীনমন্যতায় আজও ভোগে। আর এই জন্যেই আমি এদের থেকে আলাদা হতেই প্রবল বান এসে আমায় ভাসিয়ে নিয়ে গেল।
অনিমেষ রাজনীতির ময়দানে নামল, মিটিং করল, নিজের ক্ষত চিহ্ন খুলে দেখাল, মিছিলে হাটলো, ক্লাস বয়কট করল---- আমি আবার আমার কৈশোরের দিন গুলিতে ফিরে চললাম যখন আমিও মিছিলে হেঁটেছি, মিটিংএ গেছি স্লোগান তুলেছি কিন্তু কোথায় স্থায়িত্ব খুঁজে পাই নিতাই অনিমেষ যখন দলের লোকজনের তাদের কার্যকলাপের ওপর আস্থা হারিয়ে সে দল ছেড়ে নতুন দলে যোগদান কোরে এক সশস্ত্র বিপ্লবের সূচনা করে আমিও আশায় বুক বাঁধি আমিও লড়ব আবার লড়ব মানুষের হয়ে লড়ব, মানুষের কাছে মানুষের হয়ে নালিশ জানাবো। নতুন এক বিপ্লবের সূচনা হবে। কিন্তু সুভাষ সেনের মত আমায় কেউ পথ দেখায় না নতুন রাস্তার কথা বলে না। তাই আমিও ভাবি আবার বিশ্বাস আনতে হবে, আবার উজ্জ্বল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে হবে আমিও পারব নতুন করে মানুষকে আবার ফিরিয়ে আনতে আবার বিশ্বাস করাতে যে এ লড়াই মানুষের লড়াই শ্রেণিহীন সমাজের লড়াই।
বৈপ্লবিক আন্দলনের সাথে জড়িয়ে গিয়ে সেই আন্দলনের মাঝেই যখন অনিমেষের জীবনে প্রেম এল সেও যখন প্রেমের আলিঙ্গনে বিপ্লবের মাঝে প্রেমের কবিতা শুনতে চাইছে তার কবি বন্ধু ত্রিদিবের কাছ থেকে আমিও তার হয়ে দু চার লাইন শুনিয়ে দিলাম। কারন এ যাত্রায় আমিই ত্রিদিব আমিই অনিমেষ। কল্লোল বাবু যে অনেকদিন পর এসেছেন, আর তার কাছে সবসময় আবদার করাটাও সাজে না। তাই আমি লিখলাম আর আমিই পড়লাম---
               ফিরে আসা যৌবন আর উদ্দীপনার স্রোত
               ভাসিয়ে দেয় আমায়
               আমি ফিরে চলি, অন্ধকার গলি
               ফেলে আবার সেই তোমার মায়ায়।
               ভালবাসা দুহাত বাড়ায়
               মুখ তুলে একটু উঁকি দেয়
               কি করি আর কি যে না করি
               সবই এখন বোঝা দায়।।
অনিমেষের আন্দোলন সাধারনের জন্যে লড়াই, নিজের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য ভুলে মানুষের উন্নয়নের উদ্দেশ্যে নিজেকে অর্পণ করা, সাধারনের উদ্দেশ্যই যখন তার উদ্দেশ্য হয়ে দাড়ায়, আমিও ভাবি আমিও কেন পারি না নিজের ভাবনা গুলির বাহ্যিক প্রকাশ ঘটাতে, হয়ত সাহস হয় না পারিবারিক ও সামাজিক দুই ভয়েই নিজের মধ্যে নিজে লুকিয়ে থাকি। তাই অপেক্ষাকরি মাধবীলতার, যে এসে আমায় লতার মত জড়িয়ে ধরবে আর আমার ভাবনা গুলোর বাহ্যিক প্রকাশের পথ বলে দেবে। তুমি তো এসেছ সবে, হয়ত তোমার আর কিছুদিন সময় দরকার এ পথের হদিস জানবার, ভেবে আমায় জানিয়ো। আমিও ততদিন খুজি আমার ভাবনার পথ গুলোর সঠিক ঠিকানা কি।
ত্রিদিবের শব্দ আমার মনে গর্জন করে ওঠে আমিও মনে মনে ভাবি আমার শব্দও হয়ত আবার অন্য কারোর মনে গর্জন তুলবে। আবার হয়ত স্বর্গ থেকে বিনয় বাবু নেমে আসবেন আমার সাথে কথা বলবেন, আমায় সাবাসি দেবেন, উপহার স্বরূপ আমায় একটা “ফিরে এস চাকা” দেবেন, কিন্তু সে তো আমি কিনে ফেলেছি মাত্র ২০ টাকা দাম যে। বিনয় বাবুর সময়ও বোধহয় তাই ছিল। ত্রিদিবেরও কবিতার কোন হদিস পাওয়া যায় না, তার কবিতা কোথায় যায়, আদও কি সে ছাপার আকার নেয়? আমার তবুও ফেসবুক আছে মনের কথা কেউ কেউ শোনে সেখানে তবুও ছাপার গন্ধ যে আমায় বুকফাটা কান্নার হাত থেকে খানিক হলেও বাঁচিয়ে রাখে। আমি তো আর ত্রিদিবের মত সবকিছু ভাসিয়ে দিয়ে সামাজিক কবি হওয়ার পথে হাঁটব না। কারন এ সমাজ যে আমার পিছনেই আছে একটু কিছু বিরোধী হলেই ফ্রিডম অফ স্পিচ কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আমার ভাষা রোধ করে দেবে। কিছুদিন আগেই যেমন নোনাদাঙ্গার ওপর তথ্যচিত্রটা নিয়ে লেখাটাকে কেড়ে নিল। আমিও অসহায় ভাবে মেনে নিলামমৌনও মেনে নিল, এত কথা বলে কিন্তু এ যাত্রায় সেও হাত তুলে দিল। হাত তুলে দেওয়া ছাড়া ওর কাছে আর উপায়ও ছিল না। কিন্তু মৌন এভাবেই কি সারাজীবন আমাদের হাত তুলে চলতে হবে, আমরা কি পারব না কবিতা লিখে সকলের সামাজিক চেতনাকে জাগ্রত করতে, মুখোশ ধারী দের মুখোশ খুলে দিতে? তুই কি জানিস জানলে আমায়ও জানাস।
অনিমেষ যখন সশস্ত্র আন্দলনে যোগদান করে শান্তিনিকেতনে আসে সাথে মাধবিলতাও, ওই তো আমিও খোয়াইয়ের মধ্যে দিয়ে হাতছি, কিন্তু সাথে কে তুমি আমি যে ঝাপসা দেখছি আমি যে তোমায় স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি না, বিশ্বাস কর আমার সাথে অনিমেষের মত কোন অস্ত্র নেই, আমার যে কোন সুভাষ দা নেই যে আমায় অস্ত্র দেবে, আমি তো ওই ছাতিম গাছের তলায় পড়ব বলে এসেছিলাম, তুমি তোমার পরিচয়টা দাও না, আর ঝাপসা থেকো না এবার স্পষ্ট হও। আমার যে জানতে ইচ্ছা করে তুমি কে? কেন এসেছ? এই জিনিয়া ওকে জিজ্ঞেস কর না কে ও? কেন এসেছে?প্লিজ একবার জিজ্ঞেস কর।
অনিমেষের ছাত্র আন্দোলন রাষ্ট্র আন্দলনে পরিনত হয়। আর এখানেই আমি খেই হারিয়ে ফেলি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই কি হিংস্রতার লড়াই, সাধারন মানুষের লড়াই কি সমাজে হিংসা সৃষ্টি করতে পারে? তাহলে তো মৃণালদারাও আজ সমপরিমানে হিংসা ছড়াচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমি ওদের সাপোর্ট করি কেন কারন ওদের লড়াইটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হলেও যতই ওদের রাজনৈতিক অপরাধী ঘোষণা করা হক না কেন আমি জানি ওদের লড়াই ওই মানুষ গুলোর জন্য যাদেরকে রাষ্ট্র সুবিধাভোগী পণ্যে পরিনত করেছে। তাই আমিও তো ওদের লড়াইতে সামিল হতে চাই। তাই তো কলমটা তুলে নিলাম ওদের পথে সঙ্গী হব বলে। আমিও তো মনে করি—“কোই ভি দেশ পারফেক্ট নেহি হোতা উসে পারফেক্ট বানানা পরতা হ্যায়”।
যে গল্পের শেষে একজন রাজা আসে আর সব প্রজার সুদিন ফিরে আসে সেই গল্প তো আমাদের সকলের মনে আবার আশার সঞ্চার করবেই। তাই পঙ্গু হয়ে বহুদিন জেল খাটার পর তৎকালীন সরকার অনিমেষকে মুক্তি দেয় আর ও বস্তির সেই কুঁড়ে ঘরে মাধবীলতার সাথে ফিরে এসে নিজের ছোট ছেলেকে প্রথম বারের জন্য দেখে, ও আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়, আমার মনেও আবার আশার সঞ্চার হয়, তুমি হয়ত আবার ফিরে আসবে আবার আমার সাথে থাকবে। আবার আমরা নতুন করে জীবনের পথে লড়াই শুরু করব। ভালবাসা আবার এক দিগন্তবিস্তৃত নীল আকাশে চিৎকার করে বলবে “বিপ্লবের আরেক নাম মাধবীলতা”। তাই আমি অপেক্ষায় আছি তোমার ফিরে আসবার। আমি জানি তুমি ফিরে আসবেই। কি স্যার আসবে না আপনি তো সবসময়ই আমায় বুক বাঁধা আশার কথা বলেন এবার আর বলবেন না?
গল্প শেষ হয় জীবনের একটা চক্রাকার পর্যায়ের শেষ হয়। আমিও ভাবি এভাবেই হয়ত পর্যায়ক্রমে আবার আমাদের সুসময় ফিরে আসবে, আবার নতুন কোন রাজা এসে অভিষেকদা আর দেবলিনাদির মত মানুষদের মুক্তি দেবে। আমিও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ওদের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে হাজির হব আর ওদের লড়াইয়ের কথা শুনবো, ওদের প্রেমের কথা শুনবো, আর ওদের কানে কানে গিয়ে বলব আমিও তোমাদের মতন ভাবতাম কিন্তু তোমাদের মতন সাহস জুটিয়ে উঠতে পারলাম না। তাই এ যাত্রায় তোমাদের সঙ্গী হতে পারলাম না। মানুষের হয়ে মানুষের জন্য লড়াইটা করার প্রবল ইচ্ছে হয়ত ধামাচাপা পড়ল কিন্তু তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে সে তার পথের খোঁজ করতেই লাগলো। সে পথের খোঁজ করতে গিয়ে এবার না হয় সে তার ভালবাসাটাই হারাল, তবুও তো আরেকটা জন্মে এসে এ ভালবাসার পুনরুদ্ধার করার একটা তিব্র আশা বুকে রয়ে গেল। সে জন্মে এসেও হয়ত কিছুটা হলেও আবার মানুষের অধিকারের কথা ভাবা হবে। আজ এই অব্ধিই থাক। এভাবে আর নিজেকে কতটা প্রকাশ করব। আমার যে মাধবিলতা নেই, যে তার উদ্দেশ্যে আবার দু চার লাইন লিখে ফেলবো। তাই এভাবেই খানিক প্রকাশ করলাম মাধবীলতার উদ্দেশ্যে, এ লেখা না হয় এবার তাকেই উৎসর্গ করা যাক।
 আমার শব্দ এখন জব্দ হয়ে গেছে প্রেম ভালবাসা ভুলে সে এখন অন্য নেশায় মেতেছে। তাই হয়ত কালবেলার অনিমেষ কোথায় আমার সাথে এক হয়ে গিয়েও শেষে এসে পুরোপুরি আলাদা হয়ে যায়। তাই কালবেলা একটা ছবিই থেকে যায় যা আমায় হয়ত চরম ভাবে উদ্দীপ্ত করে কিন্তু পথটা বলে দেয় না, যেমন বলে দেয় না শেষের পরিণতিটাও। আপনারা একটু ভাব্বেন আবার কোন অভিষেক, দেবলিনাকে রাজ দোষে গ্রেপ্তার করা হলে আপনারা কি এর প্রতিবাদে মিছিলে হাঁটবেন? না এবারের মতই তাদের অপেক্ষা করে থাকতে হবে আবার কোন নতুন রাজার। যে এসে তার প্রজাদের সুদিন ফিরিয়ে আনবে।
  

২টি মন্তব্য:

  1. toke bolbo na akane kaek ta banan vul hoeche karon veja chok a likhte gele banan chok a pore na.ato abeg nie kono lekha onk din por porlam.but animesh er dadu er kotha kothao pelam na, madhabilata er kothao baro kom.kintu animesh er sathe ato ta mise gechis r misie diechis I'm spellbound, oder nie pore kono din likhis.aro onk lekha porar asai thklam. aro onk kotha bolte eccha korche ja akane samvob noi samna-samni bolbo na hai.ak kothai lekha ta pore kharap laglo bakita buje ne...

    উত্তরমুছুন
  2. সুমিত তোকে অসংখ্য ধন্যবাদ তোর মুল্যবান মন্তব্যের জন্য। যাদের কথা লিখতে বললি তাদের আমি কখন সামনে থেকে দেখিনি উপলব্ধি করিনি কিন্তু অনিমেষ কে অনেক সামনে থেকে দেখেছি অনেক কাছ থেকে উপলব্ধি করেছি।তার জন্যই হয়ত ওকে ঘিরে আমার এত আবেগ ছড়িয়ে পড়ল। ভাল থাকিস।

    উত্তরমুছুন